আজ || সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
  শ্যামনগরে দৈনিক দেশ জনতার প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন       রমজাননগরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা       শ্যামনগরে ইসলামী আন্দোলনের নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন       সাতক্ষীরা-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোস্তফা আল মামুনের প্রচারণা জমে উঠেছে       শ্যামনগর ভাব টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী কমপিটেন্ট       রামজীবনপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনের বৈঠক অনুষ্ঠিত       কালিগঞ্জে মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ, অভিযুক্ত স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক       সাতক্ষীরা-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোস্তফা আল মামুনের গণসংযোগ ও পথসভা       নবজাতকের উপহার প্রদান অনুষ্ঠান       শ্যামনগরে শহীদ আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রহ.)-এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত    
 


নীরব এক সংগ্রামী আলোকবর্তিকা: এবিএম কাইয়ুম রাজ

সত্য, ন্যায় ও মানবিকতার পথে যিনি অবিচল—তিনি এবিএম কাইয়ুম রাজ। শ্যামনগরের কৈখালী থেকে উঠে আসা এই তরুণ শুধু একজন সাংবাদিক নন, বরং তিনি হয়ে উঠেছেন এলাকার মানুষের আত্মার আত্মীয়, সময়ের দর্পণে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি।

 

ছোটবেলা থেকেই বই আর বাস্তবতার হাত ধরে যাঁর যাত্রা, সেই কাইয়ুম রাজ নিজের জীবনকে গড়ে তুলেছেন সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত এক নীরব বিপ্লবী হিসেবে। কৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিষ্পাপ শৈশব থেকে শুরু করে গুমানতলী কামিল মাদ্রাসার কঠোর শিক্ষাজীবন, সবকিছুর পেছনে ছিল একটি লক্ষ্য—মানুষের জন্য কিছু করা।

 

তিনি এখন দেশের অন্যতম প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠ-এর একজন প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তাঁর পরিচয় শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রভাত বার্তা, দক্ষিণের বার্তা এবং দেশ জনতা’র মতো পত্রিকায় লেখালেখি করে তিনি সমাজের নানা দিক তুলে ধরছেন সাহসিকতার সঙ্গে।

 

তাঁর কলম শুধু সংবাদ লেখে না, লেখে প্রান্তিক মানুষের না-বলা কষ্ট, প্রতিবাদহীন অন্যায় আর অবহেলিত জনপদের বুকচেরা গল্প। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের নদীভাঙা জনপদের কষ্টকে তুলে ধরতে গিয়ে কখনো তিনি হয়ে ওঠেন মাঠের কর্মী, কখনো মানবিক সহায়ক, আবার কখনো দুর্নীতির প্রতিবাদে বজ্রকণ্ঠ।

 

কেবল পেশাগত দায়িত্ব নয়—কাইয়ুম রাজের মধ্যে আছে সমাজের প্রতি এক গভীর দায়বদ্ধতা। শিক্ষার্থীদের সহায়তা, অসহায় পরিবারে খাবার পৌঁছে দেওয়া, কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো—সবখানেই দেখা যায় তাঁর আন্তরিক অংশগ্রহণ।

 

তিনি বিশ্বাস করেন, “সাংবাদিকতা কেবল তথ্য জানানোর মাধ্যম নয়, এটি হতে পারে সমাজ বদলের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।” সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি প্রতিদিন লিখে চলেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, প্রান্তিক মানুষের পক্ষে।

 

এবিএম কাইয়ুম রাজ রাজনীতির মাঠে নেই, কিন্তু মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন একজন নীরব আলোকবর্তিকা হিসেবে। যাঁরা তাঁকে চেনেন, বলেন—“এই ছেলেটার চোখে যেমন স্বপ্ন আছে, তেমনি হৃদয়ে আছে মানুষের ব্যথা অনুভব করার ক্ষমতা।”

 

এই তরুণের নিরলস পথচলা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—পরিবর্তনের জন্য বয়স নয়, প্রয়োজন একান্ত ইচ্ছা, সাহসিকতা ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মন। এবিএম কাইয়ুম রাজ হোক বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা, কলমধারীদের আদর্শ, এবং শ্যামনগরের গর্ব।


Top